স্মৃতি উসকে ফিরছে বাঙালির ভরসা অ্যাম্বাসাডর, ঘুম কাড়বে নতুন লুক!

ইতিমধ্যেই, এই নতুন গাড়ির প্রোজেক্টেড ডিজাইন সকলের সম্মুখে নিয়ে এসেছে পিউজো।

হুগলি-উত্তরপাড়া শিল্পাঞ্চল, একটা সময় যে জায়গাটা লেদ মেশিন, যন্ত্রাংশের আওয়াজে রোজ হয়ে উঠত মুখরিত, সেখানে আজ কোলাহলশূন্য পরিবেশ। গত কয়েক বছরে হুগলিতে বন্ধ হয়েছে একাধিক কারখানা। ক্রমশ অন্ধকারে ঘনিয়েছে হুগলি শিল্পাঞ্চল। একটা সময় হিন্দমোটরের কারখানাতেই হিন্দুস্থান মোটরসের ঐতিহ্যবাহী অ্যাম্বাসাডর গাড়ি তৈরি হতো। একটা সময় সে ছিল রাজ-গাড়ি। ক্ষমতার বৃত্তেই ঘোরাফেরা করত অ্যাম্বাসাডর। কিন্তু এখন বাজারে ছেয়ে গেছে দেশি-বিদেশি সব নামী গাড়ির মডেল। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজেকে বদলাতে পারেনি অ্যাম্বাসাডর গাড়ি। ফলে, কড়া প্রতিযোগিতায় পড়ে শেষমেশ ২০১৪-তেই ঝাঁপ বন্ধ হয়েছিল কারখানার। জলের দরে হিন্দুস্থান মোটরসের ঐতিহ্যবাহী অ্যাম্বাসাডর ২০১৭ সালে কিনে নিয়েছিল ফরাসি গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি পিউজো। এবারে সেই কোম্পানির হাত ধরেই, বাজারে ফিরতে চলেছে বাঙালির সেই পুরনো ঐতিহ্য। তবে এবারে একদম নতুনভাবে, নতুন লুকে আসবে বাঙালির প্রাণপ্রিয় অ্যাম্বাসাডর। বাঙালির পুরনো ঐতিহ্য মিশে যাবে ফরাসি আধুনিকতার সঙ্গে। পেট্রোল ছেড়ে নতুন অ্যাম্বাসাডর দৌড়বে বিদ্যুতের শক্তিতে। বিএমডব্লিউ কিংবা রোলস রয়েস নয়, নতুন অত্যাধুনিক ডিজাইনে ভারতের জনসাধারণের মন জয় করবে অ্যাম্বাসাডর ২.০। ইতিমধ্যেই হিন্দুস্থান মোটরসের সঙ্গে মউ স্বাক্ষরিত হয়ে গিয়েছে কোম্পানির। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, চলতি বছরেই উৎপাদন শুরু হবে অ্যাম্বাসাডর ২.০-এর। তবে দুঃখের বিষয়, হিন্দমোটরের কারখানায় হয়তো তৈরি হবে না এই গাড়ি। নতুন ডিজাইনের অ্যাম্বাসাডর তৈরির জন্য পিউজো বেছে নিয়েছে চেন্নাইয়ের কারখানাটিকে। কিন্তু তাতে কি, গোলমাথা এই গাড়ির প্রতি বাঙালির এই নাছোড় ভালোলাগা আর স্মৃতিমেদুরতা যে 'মরেও কখনওই মরেনি'!

 

পুরনো ধাঁচের সেই গাড়ি বন্ধ হয়ে গেলেও স্মৃতি-আড্ডা এবং নস্টালজিয়ায় বাঙালির মনে আজও অমলিন সেই পুরনো অ্যাম্বাসাডর। রাস্তায় নতুন গাড়ি না-নামা সত্ত্বেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে চর্চা কম নয়। স্বাধীনতার পর থেকেই উত্তরপাড়ার কারখানায় অ্যাম্বাসাডর গাড়ি তৈরি করত ভিন্ন গোষ্ঠীর সংস্থা হিন্দুস্থান মোটরস। অ্যাম্বাসাডর ব্র্যান্ড এবং ট্রেডমার্ক মাত্র ৮০ কোটি টাকায় পিউজো গোষ্ঠীর কাছে বিক্রি করতে হলেও নতুন অ্যাম্বাসাডর নিয়ে তারা এখনও আশাবাদী। উত্তরপাড়ার অদূরেই চন্দননগর একটা সময় ছিল ফরাসি উপনিবেশ। একটা সময়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকেই মন্তব্য করতেন, ফরাসি সংস্থার হাত ধরেই হয়তো নতুন রূপে ফিরে আসতে পারে অ্যাম্বাসাডর। তাদের সেই আশাকে পূর্ণতা দিতেই নতুন রূপে ফিরছে বাঙালির সেই ঐতিহ্য।

সেই পাঁচের দশক থেকে ব্রিটিশ গাড়ির মডেল মরিস অক্সফোর্ডের আদলে উত্তরপাড়ায় তৈরি শুরু হয়েছিল অ্যাম্বাসাডর। এখানে বলে রাখা ভালো, হিন্দুস্থান মোটরসের উত্তরপাড়া কারখানা থেকেই কিন্তু অ্যাম্বাসেডর তৈরি হতো। চেন্নাইয়ের কারখানাটি ব্যবহার হতো মিৎসুবিশি কোম্পানির গাড়ি তৈরি করার জন্য। কিন্তু, উত্তরপাড়ার এই কারখানাটি ছিল হিন্দুস্থান মোটরসের জন্য একটা মাইলফলক। দেশে প্রথম তো বটেই, সারা এশিয়ায় দ্বিতীয় গাড়ির কারখানা ছিল এটি (মতান্তরে তৃতীয়)। তারপরে টানা প্রায় চার দশক ধরে দেশের রাস্তায় একাধিপত্য ছিল এই গোলগাল সাদা গাড়িটির। প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে নায়ক-নায়িকা, সবাই ছিলেন এই গাড়ির সওয়ারি। প্রাইভেট গাড়ি মানেই সেই সময় ছিল অ্যাম্বাসাডর। রোজকার খবর থেকে জীবন, সব জায়গাতেই যেন ধীরে ধীরে চেনা ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছিল হিন্দুস্থান মোটরস। একটা লম্বা সময় ধরে বাঙালি তথা সারা ভারতের হৃদয়জুড়ে বিস্তার ছিল এই সাদা গাড়িটির।

 

আরও পড়ুন: এই গাড়ি চড়েই দেশ ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা ছিল সুভাষচন্দ্রের

অনেকে আবার বলেন, এই দেশের এবড়ো-খেবড়ো রাস্তাতেও নিরাপদ এবং আরামদায়ক সফরের জন্য অ্যাম্বাসাডরের জুড়ি মেলা ভার। অনেকে আবার এই গাড়িটির সঙ্গে নোকিয়ার পুরনো মডেলের ফোনেরও তুলনা করে থাকেন। তার শক্তপোক্ত চেহারা, মালপত্র নেওয়ার অঢেল জায়গা এবং পরিচিত গোল মাথা, গড়ন, সবকিছুই দশকের পর দশক ধরে মন কেড়ে নিয়েছিল গাড়িপ্রেমীদের। নয়ের দশকের অর্থনীতির আগল খোলার আগে পর্যন্ত যদিও প্রাইভেট গাড়ি বলতে কেনার আর কোনও অপশন ছিল না ভারতীয়দের কাছে। তাই দীর্ঘ চার-পাঁচ দশক ধরে মন্ত্রী-আমলাদের গাড়ি মানেই ছিল লাল বাতি লাগানো সাদা অ্যাম্বাসাডর। বহু সিনেমায় গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে কিংবা নায়ক-নায়িকার গানেও এই সাদা গাড়িটির অস্তিত্ব ছিল বিরাজমান।

বিশেষত সাদা-কালো সিনেমার যুগে এই গাড়িটি প্রায় প্রত্যেকটি সিনেমায় ব্যবহৃত হতোই। বাড়ির সকলকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রেও এই গাড়িটির জুড়ি মেলা ভার। একটা সময় পর্যন্ত ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য সাদা আর ট্যাক্সির জন্য হলুদ-কালো ছাড়া আর কোনও রংয়ের অ্যাম্বাসাডর তৈরি হতো না। কারখানা থেকে গাড়ি এনে মেটালিক সিলভার এবং মেটাল রেডের মতো একাধিক রং ব্যবহার করা হতো সার্ভিস স্টেশনে। অনেকে আবার নিজের মনের মতো করে সাজিয়ে-গুছিয়ে নিতেন তাঁদের প্রিয় গাড়িটিকে।

তবে শুধু আবেগ এবং নস্টালজিয়ায় তো ব্যবসা চলে না। তাই সময়ের সঙ্গে বদলাতে না পারার মাশুল গুনতে হয়েছে অ্যাম্বাসাডরকে। ফরাসি গাড়ি নির্মাতা সংস্থা সুজুকির হাত ধরে একের পর এক যখন মারুতি কোম্পানির গাড়ি বাজারে আসতে শুরু করে, তখন থেকেই পিছিয়ে পড়তে থাকে ঐতিহ্যবাহী এই সাদা গাড়ি। একটা সময় ভারতের রাস্তায় যে গাড়ির প্রায় একচেটিয়া কবজা ছিল, নয়ের দশকের পর থেকে তীব্র প্রতিযোগিতায় তারা আর টিকে থাকতে পারল না। ক্রমাগত রুগ্ন হতে শুরু করল হিন্দমোটর। আটের দশকে যেখানে মানুষের কাছে গাড়ি কেনার সামর্থ বেশি ছিল না, সেখানেও বছরে প্রায় ২৪ হাজার অ্যাম্বাসাডর বিক্রি হতো। অনেকে আবার তাদের এই প্রিয় গাড়িকে 'অ্যাম্বি' বলেও ডাকতেন। কিন্তু সেখান থেকেই, ২০১৩-'১৪ সালে অ্যাম্বাসাডর গাড়ির বিক্রি নেমে আসে মাত্র আড়াই হাজারে।

চুক্তিমাফিক কখনও কখনও মিৎসুবিশির গাড়ি তৈরি, আবার কখনও হালকা বাণিজ্যিক গাড়ি তৈরির মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল তারা। কিন্তু, মিৎসুবিশি কোম্পানিটিও ভারতে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি কখনওই। তাদের এসইউভি মডেলের গাড়ি ভারতীয়দের খুব একটা পছন্দ হয়নি। তার ওপর মিৎসুবিশি গাড়ির দাম প্রচুর। তাই এসইউভি ব্র্যান্ড হিসেবে ধীরে ধীরে মাথা চাড়া দিতে শুরু করেছিল মাহিন্দ্রা। আনন্দ মাহিন্দ্রার কাছেও পরাজিত হতে শুরু করে মিৎসুবিশি। অন্যান্য সংস্থা যেখানে প্রতি বছরে কর্মী-পিছু ৩৬৫টি করে গাড়ি তৈরি করে, সেখানে হিন্দমোটরসে গাড়ির সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল একেরও কম। অর্থাৎ, প্রতি বছর যেখানে প্রতিটি কোম্পানির কর্মীরা গড়ে একটি করে গাড়ি তৈরি করছেন, সেখানে এক বছর ধরে একটি গাড়িও তৈরি করতে পারতেন না হিন্দমোটরসের কর্মীরা।

শেষমেশ ২০১৪ সালের মে মাসে তালা পড়ে কারখানায়। বন্ধ হয়ে যায় ভারতের ঐতিহ্যবাহী গাড়ি নির্মাণকারী কারখানা হিন্দমোটর। বন্ধ হয়ে যায় সেই গাড়ি। আমুল বিজ্ঞাপন করে- 'দেশ দুঃখিত'। 'ভিনটেজ' গাড়ির তকমা পায় অ্যাম্বাসাডর। তবে, অনেকের মতে, এমনটা হওয়ারই ছিল। একটা সময় যখন ভারতীয়দের কাছে কোনও বিকল্প ছিল না, সেই সময় একচেটিয়া বাজারের সুবিধা পাওয়ার ফলে একই পুরনো ডিজাইনের গাড়ি তৈরি করে গিয়েছে হিন্দুস্থান মোটরস। নকশা বা প্রযুক্তি উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়ার কথা ভাবেনি।

তাই এখন এসেছে সময়। পিউজো-র হাত ধরে উন্নত প্রযুক্তি আর আকর্ষণীয় নকশাকে সঙ্গী করে আবারও মার্কেটে ফিরছে ওই কিংবদন্তি ব্র্যান্ড। টানা পাঁচ দশক নজিরবিহীনভাবে ভারতে ব্যবসা করার পরে আবারও নিজের পুরনো ঐতিহ্যকে সঙ্গে নিয়ে নতুন করে নিঃশ্বাস নিতে শুরু করেছে হিন্দুস্থান মোটরস। ফরাসি সাহচর্য পেলেও, হৃদয়টা এখনও রয়েছে দেশি! তাই গাড়ির নাম পরিবর্তন করার কোনও প্রয়োজন মনে করেনি হিন্দুস্থান মোটরস। শুধু পুরনো নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একটি ২.০। পিউজোর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ করতে চলেছে সংস্থা।

হিন্দুস্থান মোটরসের ডিরেক্টর উত্তম বসু জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে দুই চাকা এবং চারচাকা গাড়ি তৈরির দিকে মনোযোগ দেওয়া হবে। জয়েন্ট ভেঞ্চারের মাধ্যমে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে রয়েছে হিন্দুস্থান মোটরস। উত্তম বাবু জানিয়েছেন, "প্রাথমিকভাবে যৌথ উদ্যোগে দুই চাকার বাহন উৎপাদন শুরু করতে ইউরোপীয় অংশীদার সংস্থার সঙ্গে মউ স্বাক্ষরপর্ব শেষ। অংশীদারিত্ব-সহ বাকি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার পরে মূল চুক্তি স্বাক্ষরের পালা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে। ২০২৩-এর মার্চ মাসের মধ্যে উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে এই নতুন গাড়ির। তবে, হিন্দমোটরে এই নতুন গাড়ি তৈরি হয়তো হবে না। এই নতুন অ্যাম্বি ২.০ তৈরির জন্য বেছে নেওয়া হবে চেন্নাইয়ের প্ল্যান্ট। কিন্তু, উত্তরপাড়ার জন্যও রয়েছে খুশির খবর। অ্যাম্বাসাডর গাড়ির পাশাপাশি ইলেকট্রিক স্কুটারও মার্কেটে আনতে চলেছে হিন্দুস্থান মোটরস। সেক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে হুগলির উত্তরপাড়া শিল্পাঞ্চলের ওই কারখানা।"

উত্তরপাড়ায় কোম্পানির হাতে ২৮৬ একর জমি রয়েছে। সেখানে ছাউনি এবং অন্যান্য পরিকাঠামো অনেকটাই বিদ্যমান রয়েছে। তাই যদি সই-সাবুদ পর্ব মিটে যায়, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি উৎপাদন শুরু করে দেওয়া হবে হুগলির কারখানায়। ২০১৪ সালে হুগলির উত্তরপাড়া প্ল‍্যান্টে গাড়ি উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল হিন্দুস্থান মোটরসের থেকে। তহবিলের অভাব, কম উৎপাদনশীলতা এবং চাহিদার অভাব- মূলত এই তিনটি কারণের জেরে কাজ বন্ধের নোটিস জারি করেছিল হিন্দুস্থান মোটরস। একটা সময় উত্তরপাড়া এবং কোন্নগরজুড়ে প্রায় ৭০০ একর জমি ছিল হিন্দুস্থান মোটরসের কাছে। কিন্তু, ২০০৭ সালে ৩১৪ একর জমি শ্রীরাম গোষ্ঠীকে বিক্রি করে দেয় ওই সংস্থা।

গত বছর হিরানন্দানি গ্রুপ একটি লজিস্টিক এবং হাইপারস্কেল ডেটা সেন্টার পার্কের জন্য ১০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে হিন্দুস্থান মোটরসের কাছ থেকে, একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে হিন্দুস্থান মোটরসের কাছে রয়েছে ২৮৬ একর জমি। সূত্রের খবর, সেখানেই এই স্কুটারের জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রোজেক্ট গড়ে তোলা হবে। গ্রিনফিল্ড প্রকল্প হিসেবে এই উদ্যোগে উৎপাদন শুরু করতে প্রাথমিকভাবে ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর সঙ্গে হিন্দমোটর কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা জমি এবং পরিকাঠামো ধরলে সম্পূর্ণ বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১২০০ কোটি টাকা।

ইতিমধ্যেই, এই নতুন গাড়ির প্রোজেক্টেড ডিজাইন সকলের সম্মুখে নিয়ে এসেছে পিউজো। নব প্রজন্মের পাশাপাশি ভিনটেজ গাড়িপ্রেমীদের কাছেও এই নতুন মডেলের মডার্ন গাড়ি হয়ে উঠেছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। ২০০২-এর একটি বিতর্কিত ভাইরাল বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছিল, একটি অ্যাম্বাসাডরকে ভেঙেচুরে, তুবড়ে, এমনকী গাড়ির বনেটে হাতি পর্যন্ত বসিয়ে একটি আধুনিক মডেলের গাড়ি তৈরি করছে তারা। এবার সেই বিজ্ঞাপনই হয়তো হতে চলেছে সত্যি। বছরে প্রায় এক লক্ষ আধুনিক মানের বিদ্যুৎচালিত গাড়ি তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে কোম্পানি। দীর্ঘ ৮ বছর পর নতুন করে মার্কেটে ফিরছে হিন্দুস্থান মোটরস। আর গায়ে ফরাসি রং লাগিয়ে ভারতের রাস্তায় ফের বুক চিতিয়ে চলার জন্য তৈরি অ্যাম্বাসাডর, সকলের প্রিয় 'অ্যাম্বি'।

More Articles