মহিলা কুস্তিগীরদের হেনস্থা নিয়ে "মোদি চুপ কেন," প্রশ্ন তোলা বক্সার বিজেন্দ্র সিং বিজেপিতে!

Boxer Vijender Singh Switches: মথুরা আসনে কংগ্রেসের হয়ে লড়ার জন্য বিজেন্দ্র সিংয়ের নামই ভাবা হচ্ছিল।

২৪ ঘণ্টা আগেও রাহুল গান্ধির সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট শেয়ার করেছেন তিনি। তবে প্রতিটিয়া সকালই তো নতুন। নতুন সকালে জেগে সোজা বিজেপিতে চলে গেলেন বক্সার বিজেন্দ্র সিং। লোকসভা নির্বাচনের আগে বুধবার বিজেপিতে যোগ দিলেন বক্সার ও কংগ্রেস নেতা বিজেন্দ্র সিং। অলিম্পিক পদক বিজয়ী বিজেন্দ্র দক্ষিণ দিল্লি কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

দিন কয়েক ধরেই মথুরা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী কে হবে এই নিয়ে আলোচনা চলছিল। মথুরা আসনে কংগ্রেসের হয়ে লড়ার জন্য বিজেন্দ্র সিংয়ের নামই ভাবা হচ্ছিল। অভিনেত্রী তথা বর্তমান বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী আবারও এই মথুরা আসন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর বিজেন্দ্র কংগ্রেসের হাত ছেড়ে চলে এলেন পদ্মফুলে।

অলিম্পিকে পদক জয়ী প্রথম ভারতীয় বক্সার বিজেন্দ্র সিং। মজার বিষয় হলো, বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়ে কুস্তিগীরদের লড়াইয়েও শামিল হয়েছিলেন তিনি। রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (ডব্লিউএফআই) প্রাক্তন প্রধান ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিলেন কুস্তিগীরদের বড় অংশ। বিজেপির নেতা ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগীরদের শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। সেই সময় সাক্ষী মালিকের পাশে দাঁড়ান বিজেন্দ্র। ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের দীর্ঘদিনের সহযোগী সঞ্জয় সিং ডব্লিউএফআই নির্বাচনে ৪৭ ভোটের মধ্যে ৪০টি জেতার পরে সাক্ষী মালিক ঘোষণা করেছেন যে খেলা ছাড়ছেন৷ প্রতিবাদী কুস্তিগীরদের হয়ে লড়া, কমনওয়েলথ গেমসের স্বর্ণপদক জয়ী অনিতা শিওরান মাত্র সাতটি ভোট পেয়েছিলেন।

 

সেই সময় বিজেন্দ্র সিং প্রশ্ন তোলেন, "একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমি ওঁর কষ্ট বুঝতে পারছি। কুস্তিতে একমাত্র পদকপ্রাপ্ত মহিলা বিচারের দাবি করেছিলেন কিন্তু পাননি। এতে ব্যথিত হয়েই তিনি অবসর নিলেন। এতে সারা বিশ্বে ভারতের ভাবমূর্তি বাড়বে নাকি কমবে?” বিজেন্দ্র আরও বলেন, "হরিয়ানায় ছেলে এবং মেয়েদের মধ্যে বৈষম্য রয়েছে, মেয়েদের সংখ্যাও কম। এই ঘটনার পরে, অভিভাবকরা কি আর তাঁদের মেয়েদের স্টেডিয়ামে পাঠাবেন?”

শুধু তাই নয়, “এটা নিন্দনীয় যে প্রধানমন্ত্রী এই ইস্যুতে নীরব। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত", এসবও বলেছিলেন বক্সার বিজেন্দ্র। সেই কুস্তিগীরই ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে চলে গেলেন বিজেপিতে যে দলের নেতাই তাঁর সহকর্মী মহিলাদের যৌন হেনস্থা করেছেন। সেই দলে, যার শীর্ষ নেতা দেশের মহিলা কুস্তিগীরদের নিরাপত্তাও দিতে পারেননি!

More Articles