কাঁচ ভাঙল রাহুলের গাড়ির! ন্যায় যাত্রায় নিরাপত্তার ব্যবস্থাই করেনি তৃণমূল প্রশাসন?

Rahul Gandhi Bharat Jodo Nyay Yatra : আসলে কাঁচ ভাঙা নয়, চোখে পড়ছে কংগ্রেস আর তৃণমূলের চিড়

কংগ্রেসের একদা গড় ছিল মালদহ-মুর্শিদাবাদ এলাকা। বিহার ঘুরে বুধবার রাহুল গান্ধির ন্যায় যাত্রা ঢুকেছে বাংলায়। ঢুকেই বিপত্তির মুখে রাহুল গান্ধি। ভালুকা মোড়ে ভাঙল রাহুল গান্ধির গাড়ি কাঁচ! কীভাবে? রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় নিরাপত্তার আশঙ্কা করেইছিল কংগ্রেস। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগেই চিঠি লিখেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন রাজ্যে তৃণমূলের প্রশাসন যেন রাহুলের এই যাত্রায় সুরক্ষার বন্দোবস্ত করে। অথচ এবার প্রশাসনের অতৎপরতার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের পক্ষে। অভিযোগ, ঢিল ছোড়া হয়েছে রাহুলের গাড়ি লক্ষ্য করে। অনেকে আবার বলছেন, জনতার চাপেই ভেঙেছে গাড়ি কাঁচ।

রাহুলের জনপ্রিয়তার প্রমাণ মিলেছে এদিন সকাল থেকেই রাস্তার দুই ধারে উপচে পড়া ভিড় দেখেই। লক্ষাধিক মানুষ কংগ্রেস নেতাকে দেখতে ভিড় করেছিলেন। ভালুক মোড়ে আসতেই রাহুল গান্ধির দেখা পেতে ভিড়ের চেহারা বদলে যায়। অভিযোগ এই সময়ই ঢিল ছোড়া হয় গাড়ির দিকে। কংগ্রেস বলছে, এই সময় পুলিশ প্রশাসনের কোনও ভূমিকাই চোখে পড়েনি।

বুধবার কাটিহার থেকে লাভা হয়ে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে মহানন্দা বাঁধ লিঙ্ক রোড, মহারিপাড়া ঢোকে রাহুলের ন্যায় যাত্রা। বাসে করে রাহুল যান তেলজন্না মোড়, ভালুকা রোড মোড়। সেখান থেকে ফের বাসে করেই রতুয়া স্টেডিয়াম থেকে বাহারাল, পরাণপুর, পাখুড়িয়া মোড়, মদিয়া ঘাট ব্রিজ, শোভানগর, মিল্কি, অমৃতি থেকে রথিবাড়ি ফ্লাইওভার ধরে ইংলিশবাজার পোস্ট অফিস মোড় যাবে এই জনসভা। ইংলিশবাজার মোড়েই হবে রাহুলের জনসভা।

আরও পড়ুন- জোট নয়, প্রতিপক্ষ কংগ্রেস! রাহুলের ন্যায় যাত্রার দিনেই জনসভা কেন মমতার?

আসলে কাঁচ ভাঙা নয়, চোখে পড়ছে কংগ্রেস আর তৃণমূলের চিড়। রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও আসন সমঝোতা নয় স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ৪২ টি আসনেই প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাহুল গান্ধি বাংলায় ন্যায় যাত্রা নিয়ে আসার পরে তৃণমূলের তরফে কেউই যাননি 'ইন্ডিয়া' জোটসঙ্গীর সঙ্গে দেখা করতে। শুধু তাই নয়, রাহুল যে যে জায়গা দিয়ে পদযাত্রা করেছেন মমতা সেই পথেই পাল্টা জনসংযোগ যাত্রাও করেছেন। অর্থাৎ বুঝিয়ে দিয়েছেন এই রাজ্য তাঁর। রাহুলকে দেখে যে ভিড় জমা হয়েছে, যে আবেগ দেখা দিয়েছে সেই ঘোর কাটাতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল।

চোপড়ার পাশাপাশি ইসলামপুরে পদযাত্রা করেছেন মমতা। বুধবার যখন মালদায় রাহুল বক্তৃতা দেবেন, তখন ঠিক সেই সময়েই বহরমপুরে ভাষণ দেবেন মমতা। মমতা ক্রমেই স্পষ্ট করে দিচ্ছেন এই রাজ্য তাঁর, এখানে কোনও জোটে নেই তিনি। বিনা যুদ্ধে কাউকে সূচাগ্র মেদিনী দেবেন না তিনি। জোট শরিকের সঙ্গে বিজেপি বিরোধিতার কথা কি তবে ভ্রান্ত? তৃণমূল বলেছে জোটে নয়, আলাদা করে রাজ্যে আঞ্চলিক দল হিসেবেই লড়বে দল। ভোটের পর, নির্বাচন-পরবর্তী জোট গড়াতেই ঝুঁকে তারা। তাই এই মুহূর্তে কংগ্রেস আসলে মিত্রশক্তি নয়, বরং প্রতিপক্ষই।

 

More Articles