মমতা বনাম অধীর: জোট আটকে দিল পুরনো যুদ্ধ?

Lok Sabha Election 2024: ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যতের পথে সবচেয়ে বড় কাঁটা নাকি মমতা স্বয়ং। আর এমনটা মনে করছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তাঁর মতে, "দিদিই জোটের ভবিষ্যৎ নস্যাৎ করে দিচ্ছেন।

বিধানসভা ভোটে তিন রাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস। সামনেই লোকসভা ভোট। এদিকে বিজেপিকে হঠাতে একজোট হয়েছে বিজেপি বিরোধী সবকটা দল। সেই ইন্ডিয়া জোটের তরফে প্রধানমন্ত্রীর মুখ ঘোষণাও হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। কিন্তু তিন রাজ্যে হারের পর ইন্ডিয়া জোটে সামান্য হলেও কোণঠাসা হাত-শিবির। বাংলাতেও আসন সমঝোতা নিয়ে বিবাদ লেগেই রয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূলের। শুধু কংগ্রেসই নয়, বামেদের সঙ্গেও রাজ্যে কোনও জোটে যেতে রাজি নয় তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে 'একলা চলো নীতি'র কথাই বারবার বলেছেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্যের বিবাদের আঁচ ইন্ডিয়া জোটেও পড়বে না তা! এর আগে ইন্ডিয়া জোটে জটের জন্য সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুষেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এবার একযোগে আম আদমী পার্টি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোট জটের জন্য দুষছেন অধীরকেই। এরই মধ্যে আবার বাংলায় 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা' নিয়ে ঢুকেও দিল্লি ফিরে গেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। তার নেপথ্যে কি রয়েছে  অন্য কোনও কারণ? উঠছে প্রশ্ন। 

২০২৪ লোকসভা ভোটেই বিজেপি গদিচ্যুত করার উদ্দেশ্য নিয়ে জোট বেঁধেছিল ছাব্বিশটি দল। তবে তারপর থেকেই দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। প্রায় কোনও প্রসঙ্গেই মতানৈক্য আসেনি জোট 'ইন্ডিয়া'-তে। লোকসভা ভোট দোরগোরায়। আর ঠিক এ সময়ে ইন্ডিয়া জোটের অন্দরের এই দ্বন্দ্ব ঠিক কতটা আশঙ্কার, উঠে গিয়েছে প্রশ্ন। ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যতের পথে সবচেয়ে বড় কাঁটা নাকি মমতা স্বয়ং। কিছুদিন আগেই তৃণমূলনেত্রীকে এই মর্মে তোপ দেগেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তাঁর মতে, "দিদিই জোটের ভবিষ্যৎ নস্যাৎ করে দিচ্ছেন। দিদিই চান না, জোট হোক। কারণ জোট হলে তাঁর অসুবিধা আছে।" সম্প্রতি দিল্লির মন্ত্রী তথা আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ জানান, লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর যে কায়দায় ধারাবাহিক ভাবে তৃণমূলকে নিশানা করে চলেছেন তাতে বাংলায় দু’দলের সমঝোতা হওয়া কঠিন। আপ নেতা সৌরভের বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গের বড় দল। কংগ্রেস এবং বামেরা ধারাবাহিক ভাবে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। এই পরিস্থিতিতে তাই আসন ভাগাভাগি একটু কঠিন হবেই।’’ এর পরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে দুষে তাঁর মন্তব্য, ‘‘অধীর চৌধুরী ধারাবাহিক ভাবে মমতা এবং তৃণমূল সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন। তাঁকে ‘সুযোগসন্ধানী’ বলেছেন। যখনই সমঝোতা ইতিবাচক অবস্থানে পৌঁছয়, তখনই এমন বিতর্কিত মন্তব্য করা হচ্ছে।’ এদিকে মমতার পথে হেঁটে পঞ্জাবে লোকসভা ভোটে একা লড়ার কথা ঘোষণা করছে আম আদমী পার্টিও।

আরও পড়ুন: কংগ্রেসের সঙ্গে আসন ভাগ করবেন? ইন্ডিয়া জোটের অস্তিত্ব নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মমতার

জোটে আসন সমঝোতা নিয়ে মমতাকে যেমন অধীর বিঁধেছেন, পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'‌ব্রায়েনের  দাবি, "অধীর চৌধুরীই অন্যতম কারণ, যার জন্য জোট ঠিকঠাক কাজ করছে না বাংলায়। ইন্ডিয়া জোট নিয়ে নানা আপত্তিকর কথা বলা হচ্ছে। বলছে দু’‌জন। এক, বিজেপি। দুই, অধীর চৌধুরী।" একই কথা কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিল দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের গলাতেও। জানিয়েছিলেন, "ওঁর মুখে এ সব কথা মানায় না। ২০২১ সালে সিপিএমের সঙ্গে জোট করে শূন্য পেয়েছিল। যাঁর ইস্তফা দিয়ে চলে যাওয়ার কথা, তিনি এখন বড় বড় কথা বলছেন।"  তৃণমূল সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, “আমরা আসন ভাগাভাগির জন্য যথেষ্ট ধৈর্য ধরেছি, আমরা যথেষ্ট উদার ছিলাম এই বিষয়টি নিয়ে। কিন্তু কংগ্রেসের তরফে শুধুই দীর্ঘসূত্রিতা চলেছে। তৃণমূল সূত্রে স্পষ্ট ইঙ্গিত, অধীর চৌধুরীর কারণেই রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির আলোচনা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, নির্বাচন পরবর্তী ক্ষেত্রে জোট গড়ার রাস্তা খোলা থাকবে। তৃণমূলের মূল উদ্দেশ্য বিজেপিকে রুখে দেওয়া। তার জন্য, নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি বিচার করে সিদ্ধান্ত নেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তৃণমূল সূত্রে আরও বলা হয়েছে, ভোটের পর সংবিধান রক্ষায় বিজেপি বিরোধী শিবিরে অবশ্যই থাকবে তৃণমূল। আপাতত ইন্ডিয়া জোটের অধীনে আসন ভাগাভাগি না করার সিদ্ধান্ত পাকা। এই বিষয়ে আর কোনও আলোচনা হবে না। ঘাসফুল শিবিরের তরফে এ-ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অধীরের ব্যবহারে অসন্তুষ্ট তারা। ফলে জোট সমঝোতার প্রশ্ন উঠছে না। 

বিরোধী জোটের আসন সমঝোতার প্রশ্নে মমতা প্রথম থেকেই বলে এসেছেন, যে রাজ্যে যে দল বেশি শক্তিশালী, সংশ্লিষ্ট রাজ্যে জোটের রাশ থাকবে তাদের গাতেই। বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন, দেশ ইন্ডিয়া জোট যেমন লড়াই করছে, তেমন করলেও বাংলায় জোটের চালিকাশক্তি হতে চলেছে তৃণমূলই। ঠারেঠোরে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিজেপিকে এ রাজ্য থেকে হঠাতে তৃণমূল একাই যথেষ্ট। এদিকে, অধীরও কংগ্রেসের হয়ে তেমনটাই দাবি করেছে। বুঝিয়ে দিয়েছে, এ রাজ্যে বিজেপিকে রোখার ক্ষমতা কংগ্রেসেরও আছে। তার জন্য তাদের কোনও জোটের প্রয়োজন নেই। মুর্শিদাবাদে তৃণমূল-বিজেপিকে একা হাতে রোখার ক্ষমতা সত্যিই অধীর রঞ্জন চৌধুরীর আছে। কিন্তু গোটা বাংলায় তেমন শক্তি আদৌ কংগ্রেসের আছে কি! যদিও সেই প্রশ্নের উত্তরে আত্মবিশ্বাসই বেশি করে চোখে পড়েছে।

এদিকে, ওয়াকিবহাল মহল কিন্তু মনে করছে অন্য কথা। তাদের বক্তব্য রাজ্যে যদি শেষ পর্যন্ত তৃণমূল-কংগ্রেস আসন সমঝোতা নিয়ে বসতেই হয় দু'পক্ষকে, তার জন্য আগে থেকেই চাপ তৈরি করে রাখতে চেয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী। অন্যদিকে, অধীরও সেই একই কাজ করছেন। গত কয়েকমাস ধরে তৃণমূল-কংগ্রেস জোট নিয়ে নানাবিধ সম্ভাবনার কথা কম শোনা যায়নি। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তাঁর 'ইন্ডিয়া'র বৈঠক নিয়ে কথা হয়েছিল বলে নিজেই জানিয়েছিলেন মমতা। তার পরেই কংগ্রেসের সূত্রে জানা গিয়েছিল, রাহুলের সঙ্গে মমতার তিনটি আসন ছাড়ার বিষয়ে কথা হয়েছে। আগের বারের জেতা বহরমপুর, মালদহ দক্ষিণ ছাড়াও রায়গঞ্জ আসনটি তাদের ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস মমতা দিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছিল দিল্লি কংগ্রেসের সূত্রে। তার পরে গত ১৯ ডিসেম্বর 'ইন্ডিয়া'র বৈঠকের পরের দিনই কংগ্রেস হাইকমান্ড বাংলার নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে অবশ্য বঙ্গ কংগ্রেসের সিংহভাগ নেতাই তৃণমূলের সঙ্গে জোটের বিষয়ে আপত্তি জানান। বারবারই মমতা পরিষ্কার করে দিয়েছেন, বাংলায় তৃণমূল নিজের ক্ষমতাতেই বিজেপিকে 'শিক্ষা' দিতে পারে! ফলে রাজ্যে তাদের জোটসঙ্গীর কোনও প্রয়োজন নেই।

দেশে বিজেপি-বিরোধী জোটের কথা বললেও, রাজ্যে যে সূচাগ্র মাটিও ছাড়তে নারাজ নয় কোনও দলই, তা কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছে প্রত্যেকেই। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তাঁদের লড়াই বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধেও। ফলে তারাও রাজ্যে জোটের ব্যাপারে কতটা আগ্রহী, তা বোঝা কঠিন নয়। অধীরের গলাতেও শোনা গিয়েছে কার্যত একই সুর। এদিকে, তৃণমূলের তরফে একটি অংশ দাবি করেছে, আসন রফার প্রশ্নে ‘নিয়ন্ত্রণ’ নিজের হাতে রাখতে চাইলেও বাংলায় জোট নিয়ে কখনওই ‘কঠোর’ মনোভাব নিয়ে চলতে দেখা যায়নি মমতাকে। বরং, সাম্প্রতিক সময়ে তাঁকে যথেষ্টই ‘নমনীয়’ দেখিয়েছে। তিনি শুধু বোঝাতে চেয়েছেন, সব দলকে বাস্তবতা বুঝে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে এগোতে হবে। কোনও ‘অহং’ রাখলে চলবে না। রাজ্য-রাজনীতির বৃত্তের একাংশের মতে, আসলে বঙ্গ কংগ্রেসের অধিকাংশ নেতাই রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের বিপক্ষে। সে কথা তাঁরা দিল্লির নেতাদেরও বুঝিয়ে দিয়েছেন। দিল্লিতে জোট-বৈঠকের পর বাংলার নেতারা দলের হাই কমান্ডকে তৃণমূল নিয়ে ‘অ্যালার্জি’র কথা বলতে গিয়ে যে সব যুক্তি দিয়েছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম— তৃণমূলের বার বার কংগ্রেসে ভাঙন ধরানোর প্রবণতা। বঙ্গনেতাদের দাবি, বাংলায় বিজেপির থেকে তৃণমূল অনেক বেশি ক্ষতি করেছে কংগ্রেসের। ২০০৯ সালের লোকসভা আসন থেকে শুরু করে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোট, কংগ্রেসের ক্ষতি করেই রাজ্যে আড়ে-বহরে বেড়েছে তৃণমূল।

অধীর-মমতার এই যে যুদ্ধ, তা আজকের নয়। বারবার বিভিন্ন ভাবে একে অন্যকে আক্রমণ করেছে পোড় খাওয়া দুই রাজনৈতিক নেতাই। গত কয়েক বছর ধরেই  রাজ্যে তলানিতে ঠেকেছে কংগ্রেসের ভোট। তৃণমূল ঝড়ের মুখে কার্যত কংগ্রেস বা বাম, কোনও দলই তেমন করে নিজেদের গড় সামলাতে পারেনি। তার মধ্যেও বহরমপুরে নিজের দুর্গ বাঁচাতে পেরেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। অন্তত ২০১৯ লোকসভা ভোটে তো বটেই। অনেকেই বলেন, মুর্শিদাবাদে রাজনীতি চলে অধীরবাবুর অঙ্গুলি হেলনেই। সেই মুর্শিদাবাদে প্রচারে গিয়ে হোক বা নবান্নে বসেই, তৃণমূল সুপ্রিমো বারংবার বিঁধেছেন অধীরকে। এমনকী ২০১৯ লোকসভা ভোটের সময়ে তিনি এ-ও বলে বসেন যে বহরমপুরে কংগ্রেসকে তৈরি করে দিয়েছিলেন খোদ মমতাই। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নাকি মমতার ছবি দেখিয়ে বলতেন, তিনি কংগ্রেসের সঙ্গেই রয়েছেন। অধীরকে বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় জড়িয়েও তোপ দাগেন তৃণমূল নেত্রী। কম যাননি অধীরও। কখনও মমতার বিরুদ্ধে বহরমপুরে ভোট লুঠের অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন, তো কখনও আবার বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন। ফলে এই দুই রাজনীতিকের  ধারাবাহিক লড়াইয়ের প্রতিফলনই ফের ২০২৪ লোকসভা ভোট এবং জোটের ময়দানে দেখতে পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: অধীর-সেলিম না ধুপগুড়ি — কে ‘ভেঙে’ দিল ইন্ডিয়া জোট?

ফলত সেই ঝুঁকি এড়াতে চাইছে কংগ্রেসের বহু নেতাই। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও সে ব্যাপারটাই পরিষ্কার করে দিয়েছেন। তার উপর কংগ্রেসের উপর গোড়া থেকেই ঠিকমতো ভরসা করতে পারছে না তৃণমূল। বিশেষর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির প্রতি যে তাদের বিশেষ ভরসা নেই, তা-ও অ্যাদ্দিনে স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রীর মুখ বাছাইয়ের সময় রাহুল গান্ধি ও সনিয়া গান্ধির সামনেই যেভাবে প্রধানমন্ত্রী-মুখ হিসাবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের নাম প্রস্তাব করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতেও সেই ব্যাপারটি ভালো মতোই চোখে পড়েছিল। এর মধ্যেই আবার লোকসভা ভোটকে সামনে রেখেই 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা' শুরু করেছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। এর মধ্যেই বাংলায় ঢুকে পড়েছে রাহুলের কনভয়। বৃহস্পতিবার কোচবিহারে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেসের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তবে মাঝপথেই কর্মসূচি স্থগিত রেখে নয়াদিল্লি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনা বাংলায় অস্বস্তি বাড়িয়েছে কংগ্রেসের। এই পরিস্থিতিতে জোট নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অধীরবাবুর এই ধরনের বক্তব্য কতটা তাৎপর্যপূর্ণ? স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েও। লোকসভা ভোটের ঠিক আগে এই ধরনের আক্রমণে দুই দলের দূরত্ব আরও বাড়বে না তো। সে ক্ষেত্রে বিজেপির বিরুদ্ধে জেতা তো দূরের, টিকে থাকাটাই কঠিন হয়ে পড়বে না তো ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে। উস্কে উঠেছে একাধিক আশঙ্কা।

More Articles