পেপারব্যাক : বিদেশে ও স্বদেশে
Paperback: ভারতবর্ষের মতো দেশ যেখানে বই কেনা প্রায় বিলাসিতা, সেখানে পেপারব্যাকের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েকটি ভারতীয় প্রকাশ-ভবন ইংরেজি বইয়ের অনেক উল্লেখযোগ্য পেপারব্যাক সংস্করণ প্রকাশিত করেছেন-- এই প্রসঙ্গে জয়কো,...
পেপারব্যাকের বিপুল জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জনৈক লেখক লিখেছেন, আর দু-তিন পুরুষ বাদে ছেলে-মেয়েদের বোঝাতে হবে পেঙ্গুইন পেলিক্যান আসলে বিশেষ বিশেষ পাখির নাম, বইয়ের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। সত্যি বলতে কি, পেঙ্গুইন শব্দটির এমনই অর্থসঙ্কোচ (না অর্থব্যাপ্তি?) ঘটেছে যে কথাটা কানে গেলেই মনে পড়ে যায় সুলভ মূল্যে দুর্লভ বই প্রকাশের বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠানটির কথা। কিছুদিন আগেও তো বহুলোকের ধারণা ছিল যে, পেপারব্যাক অনেকটা খবরের কাগজের মতোই, একবার পড়ে পরিত্যাগ করতে হয়। কোনো দূরপথগামী-যাত্রী ট্রেনে অথবা স্টিমারে ওঠার আগে কোনো স্টল থেকে কিনে নিলেন, তারপর গন্তব্যে পৌছে ব্যস্ততার ফাকে অকস্মাৎ লক্ষ করলেন বইটি তিনি অন্যমনস্কভাবে গাড়িতে ফেলে এসেছেন। কিন্তু তার জন্য একটুও অনুশোচনা নেই-- বইটি রাখার মতো নয় এবং রাখা যেতও না। 'রাখার মতো নয়” অর্থে বিষয়ের অকিঞ্চিৎকরত্ব। অনেক বই আছে যেগুলি পড়ার পর মনে রাখার কোনো তাগিদ থাকে না এবং সেগুলি ভুলে যাওয়ায় কোনো দুঃখ নেই। রেলগাড়ির একঘেয়ে যাত্রার মধ্যে মন্দ লাগে না রোমহর্ষক খুন-খারাপি, কিন্তু ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসতেই সেই রোমাঞ্চকর উত্তেজনা ঠান্ডা হয়ে আসে। অন্যদিকে “রাখা যেত না' কথাটি মার্ক টোয়নীয় অর্থে ব্যবহৃত হয়নি অর্থাৎ বইয়ের ব্যাপারে যে স্বতঃসিদ্ধ প্রয়োগ চলে-_ যে-নিয়মে আমার বই শোভা পায় আমার বন্ধুর শেলফে সেই হিসেবে কথাটা প্রযুক্ত নয়। বইয়ের কাগজ-বাঁধাই-ছাপা এমনই সম্ভার যে পড়া শেষ করতে না করতে দেখা যায় বাঁধানো আলগা হয়ে পাতাগুলো খসে খসে পড়ছে, পাতা ওলটাতে গিয়ে দু-এক জায়গায় ছিঁড়ে বেরিয়ে গেছে। সপ্তাহখানেক বাদে পুরোনো কাগজের দরও পাওয়া যায় না।
পেপারব্যাকের আদিপর্বে বইয়ের ছাপা বাঁধাই উন্নত করার কথা বিশেষ কেউ ভাবেননি। অন্যদিকে বই সংগ্রহ অনেকটা বাড়ি করার মতো-_ অস্তত এক পুরুষ যদি ভালোভাবে উপভোগ করা না যায় তবে বাড়ি করেই বা কী লাভ, বই কিনেই বা কী তৃপ্তি! সুতরাং বই যদি কিনতেই হয় তবে বাঁধানো সংস্করণ কেনা ভালো। পাঠকদের এই প্রতিক্রিয়ার কথা প্রকাশকেরা জানতেন। সেজন্য তাঁরা যে-সব বইয়ের "স্থায়ী মূল্য' আছে, সেগুলির পেপারব্যাক সচরাচর প্রকাশ করতেন না। যে-বই লোকে পড়ে সময় হত্যার জন্য, সেসব বই সম্পর্কেই তাঁদের বিশেষ আগ্রহ ছিল। অভিজাত বইয়ের দোকানগুলিতে পর্যন্ত এগুলি স্থান পেত না, বাধ্য হয়ে এগুলি জায়গা নিয়েছিল মনিহারি দোকান বা ওষুধের দোকানের পাঁচমিশেলি ভিড়ে।
আরও পড়ুন: লেখক কম, প্রকাশকে গিজগিজ করছে বাংলার বইবাজার : সুমন চট্টোপাধ্যায়
কিন্তু সেই পেপারব্যাকও একদিন পাঙ্তেয় হল। অঘটন ঘটাল পেঙ্গুইন। অবশ্য পেঙ্গুইনের মতো সুষ্ঠু পরিকল্পনা এবং সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি না থাকলেও পেপারে ঐতিহ্য ওদেশে প্রাচীন। ডা. ডেসমন ফ্লাওয়ার এ-বিষয়ে একটি তথ্যপূর্ণ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন যে, ১৪৯৪ খ্রি.-এর মতো সুদূর অতীতেও সুলভ সংস্করণ প্রকাশের খবর পাওয়া যায়। ১৮ শতকের শেষ এবং ১৯ শতকের শুরু থেকে হালকা বইয়ের সস্তা সংস্করণের ব্যবসা বেশ জমে উঠেছিল। দূরযাত্রী নাবিকেরা বা যাত্রীগণ পথে প্রয়োজনীয় রসদের সঙ্গে সঙ্গে সময়হরা কতকগুলি অবিন্যস্ত বাঁধাই এবং সস্তা ছাপার বই নিতে ভুলতেন না।
আজ আমরা কোনো গ্রন্থের সুলভ এবং রাজ-সংস্করণের সহ-অবস্থান দেখতে অভ্যস্ত, কিন্তু পেঙ্গুইনের আগে তা অকল্পনীয় ছিল। ১৯৩৫-এর আগে পেপারব্যাকের অস্তিত্ব নিশ্চয়ই ছিল, কিন্তু তার বিষয়গত তুচ্ছতার কথা স্মরণীয়। এঁদের মধ্যে যারা কিছুটা দুঃসাহসিক তারা স্বত্ববিহীন ক্ল্যাসিকসের পুনর্মুদ্রণে উৎসাহী হলেন। বই-সংগ্রহের তিনটি পন্থার কথা প্রবচনে পাই, 'Buy, borrow or steal'। পেঙ্গুইনের প্রতিষ্ঠাতা স্যার অ্যালান লেনের বহুদিন ধরে আগ্রহ ছিল, বই ধার করে যাঁরা পড়েন, তাঁদের সম্ভাব্য ক্রেতায় পরিণত করা। 'ধনবানে বই কেনে, জ্ঞানবানে পড়ে' এই আপ্তবাক্যে আস্থা না রেখে বইয়ের দাম যাতে জ্ঞানবানের আর্থিক সঙ্কতির সঙ্গে সমতা রেখে চলে সেজন্য সচেষ্ট হলেন। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল একটি বইয়ে যা বিক্রি, সুলভ সংস্করণ প্রকাশিত হলে তার ক্রেতা আরও বেড়ে যাবে। এই উদ্দেশ্যে তিনি বিভিন্ন প্রকাশ ভবনের সঙ্গে যোগ স্থাপন করলেন। কিন্তু জোনাথেন কেপ প্রমুখ প্রমুখ কয়েকজন ছাড়া আর কোনও প্রকাশন বিশেষ আশ্বাস দিলেন না। তাঁরা ভেবেছিলেন প্রচলিত সংস্করণের বই বাজারে থাকতে থাকতে সুলভ সংস্করণ প্রকাশিত হলে প্রথমোক্তের ব্যবসায়িক ক্ষতি অনিবার্য। অল্পদিন পরেই এ ধারণার অসারতা প্রমাণিত হয়।
কিন্তু তাহলেও পেঙ্গুইন প্রকাশের প্রথম পর্বে কোনো লেখকের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে চুক্তি হয়নি; মূল প্রকাশকের মাধ্যমেই বই ছাপা হত। দক্ষিণার স্বল্পতা দেখে কেউ বিশেষ আগ্রহ পোষণ করেননি। পেঙ্গুইনের প্রথম মৌলিক গ্রন্থাবলী হল রাজনীতি -বিষয়ক। তবে দু-জন লেখকের নাম অবশ্যই করতে হয়- এইচ.জি.ওয়েলস এবং জর্জ বার্নার্ড শ। তাঁরা শুধু নিজেদের গ্রন্থের প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত করেছিলেন তাই নয়, একাধিক নতুন লেখককেও পেঙ্গুইনের সঙ্গে পরিচিত করিয়েছেন। ছ-পেনিতে শ'য়ের প্রথম সংস্করণ- সে-যুগে নিঃসন্দেহে বৈপ্লবিক ঘটনা।
পেঙ্গুইন প্রকাশনার ইতিহাস 'পেঙ্গুইন স্টোরি' এবং 'টোয়েন্টি ফাইভ ইয়ারস' এই দুই গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। এখানে এ বিষয়ে পূর্ণ আলোচনার সুযোগ নেই। তবে পেঙ্গুইনের প্রভাব আজ বিশ্বময়- অক্সফোর্ড- কেমব্রিজের মতো রক্ষণশীল জায়গা থেকেও পেপারব্যাক সংস্করণ প্রকাশের পরিকল্পনা প্রায়ই শোনা যায়।
আমেরিকা এবং ব্রিটেনে পেপারব্যাক সম্পর্কিত যে তথ্য পাওয়া যায় তা বিস্ময়কর। ১৯৫৯ সালে আমেরিকায় ৬,৫০০টি বিভিন্ন বিষয়ক পেপারব্যাক গ্রন্থের মোট বিক্রয়-সংখ্যা তিন কোটি-- আমেরিকার সমগ্র বিক্রীত বইয়ের প্রায় অর্ধেক। উক্ত ৬,৫০০টি গ্রন্থের মধ্যে ১৯১২টি ১৯৫৯ সালেই প্রকাশিত। ওই বছর যে কয়টি নতুন বইয়ের দোকান শুরু হয়েছে তার মধ্যে শতকরা পনেরোটিই পেপারব্যাক পারদর্শী। ইংল্যান্ডে পেপারব্যাক প্রকাশনার সংখ্যা গোটা তিরিশ। তার মধ্যে বহু প্রতিষ্ঠান পেপারব্যাকের সঙ্গে সঙ্গেই রাজসংস্করণে গ্রন্থ প্রকাশ করে চলেছেন। একদা দক্ষিণার স্বল্পতার দরুন যে-সমস্ত লেখকবৃন্দ পেপারব্যাককে দাক্ষিণ্য দানে পরান্মুখ ছিলেন, তাঁরা শুনে অনুশোচনা করবেন যে-করগি প্রতিষ্ঠান ‘Lolita’-র পেপারব্যাক স্বত্ব ক্রয় করেছেন ১৫,০০০ পাউন্ডে। আমাদের দেশে রবীন্দ্রনাথের পক্ষেও কি একটি বই থেকে এত টাকা প্রত্যাশা করা সম্ভব?
ভারতবর্ষের মতো দেশ যেখানে বই কেনা প্রায় বিলাসিতা, সেখানে পেপারব্যাকের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েকটি ভারতীয় প্রকাশ-ভবন ইংরেজি বইয়ের অনেক উল্লেখযোগ্য পেপারব্যাক সংস্করণ প্রকাশিত করেছেন-- এই প্রসঙ্গে জয়কো, ভারতীয় বিদ্যাভবন, রূপা ইত্যাদির নাম উল্লেখযোগ্য। জয়কো আক্ষরিক অর্থে সুলভ সংস্করণ প্রকাশের পক্ষপাতী-- কাগজ-ছাপা-বাঁধাই একেবারে সাধারণ। লেখক-তালিকার মধ্যে দেশি-বিদেশি উভয়েই আছেন। অন্যদিকে ভারতীয় বিদ্যাভবনের মুদ্রণসৌষ্ঠব নিন্দনীয় নয় এবং তাঁরা দাম ও আকারের সমতার দিকে বিশেষ যত্নবান| বাংলাভাষায় প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যাসংগ্রহের মতো বিষয়-ব্যাপ্তি অত বিরাট না হলেও পুস্তক পরিকল্পনায় শেষোক্তের সঙ্গে তাঁদের মিল লক্ষণীয়। রূপা-র পেপারব্যাকে মৌলিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি, অনুবাদ বা পুনর্মূদ্রণেই তাঁদের বিশেষ আগ্রহ। দেশ-বিদেশের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যের সুলভ সংস্করণ প্রকাশিত তকে এঁরা সবার কৃতজ্ঞতাভাজন হয়েছেন। কেমব্রিজ পেপারব্যাক সম্পর্কিত উক্তির প্রতিধ্বনি করে রূপা বিষয়েও বলা চলে যে। তাঁরা হলেন ‘aristocrats of the paperbacks’— বিষয়নির্বাচন থেকে মুদ্রণপারিপাট্য সব কিছুতেই তাঁদের এই আভিজাত্যের চিহ্ন সুস্পষ্ট। পেপারব্যাক এখানে শুধু দামেই সুলভ, আর তাঁদের আভিজাত্যের চিহ্ন সুস্পষ্ট। পেপারব্যাক এখানে শুধু দামেই সুলভ, আর সবই মূল্যবান। এদের সম্পাদনার বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করার মতো। ডস্টয়েভ্স্কির দু-টি উপন্যাস এঁরা যখন একত্রে প্রকাশ করলেন, ভূমিকা লিখলেন বাংলার একজন স্বনামধন্য কবি-ঔপন্যাসিক। টোমাস মানের সঙ্গে ভারতীয় পাঠকের পরিচয় যেমন ঘনিষ্ঠতর হয়েছে এঁদের সহযোগিতায়, তেমনি আবার জাপানি ঔপন্যাসিকের সঙ্গেও আমাদের পরিচয় করিয়েছেন। পাশ্চাত্যের অনেক কিছুই আমাদের নখদর্পণে, কিন্তু প্রাচ্য সংস্কৃতির ব্যাপারে আমাদের ‘ঘর হইতে আঙিনা বিদেশ।' বাংলা সাহিত্য থেকেও অনুবাদ করে তাঁরা পেপারব্যাক সংস্করণ প্রকাশ করেছেন।
তবুও বলব আমরা পরিতৃপ্ত নই, আমাদের প্রত্যাশা অনেক। বাংলায় বসুমতীর পর মৌল অর্থে আর পেপারব্যাক প্রকাশিত হয়নি— অথচ হিন্দি উর্দুতে আজ পেপারব্যাক দুর্লভ নয়। অবশ্য ১১০০ সংস্করণে পেপারব্যাক আকাশকুসুম মাত্র, তবে পাঠক বৃদ্ধির সম্ভাবনা কি একেবারে নেই? জয়কো, রূপার মতো প্রকাশক ইংরেজি পেপারব্যাকের যে সংস্করণ প্রকাশ করছেন তা ২৫০০ থেকে ৫০০০-এ সীমাবদ্ধ। বাংলায় ৩০০০ সংস্করণের পেপারব্যাক কি অনায়াসে চলতে পারে না? সুলভ ‘গীতাঞ্জলি’ এবং ‘বিচিত্রা’র অসামান্য এবং অবিশ্বাস্য চাহিদা কি আমাদের নিশ্চেষ্টতাকে পরিহাস করে না? কোনো প্রচলিত বইয়ের সুলভ সংস্করণ হওয়া আমাদের দেশে হয়তো দুরূহ, কিন্তু পুরোনো বইয়ের পেপারব্যাক সংস্করণ প্রকাশের স্বপ্ন কী অবাস্তব? ত্রৈলোক্যনাথের ডমরু চরিতে’র সচিত্র পেপারব্যাক সংস্করণ প্রকাশিত হলে তার কোনো বৈষয়িক সাফল্য নেই একথা মানা অসম্ভব। কিংবা মধুসুদন-দীনবন্ধুর নাটক অথবা কোনো বিস্মৃত লেখকের গল্প সংগ্রহ?
আরও পড়ুন:ছুরির বদলে কলম, এক চোখ হারিয়ে রুশদির লেখা বইয়ের প্রচ্ছদই কাঁপিয়ে দিল বিশ্বকে
হায় রে কখন কেটে গেছে বসুমতীর কাল। বাংলাদেশের অধিকাংশ পাঠকেরই প্রাচীন ও আধুনিক বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে পরিচয় বসুমতীর মাধ্যমে। সেই নিউজপ্রিন্টের ওপর রোটারি বৈদ্যুতিক যন্ত্রে ছাপা, ‘যার বাইরেটা কালো, ভেতরটা মণি-মুক্তোর' তার ফলেই না বাঙালি পাঠক পরিচয় পেয়েছিল কালীপ্রসন্ন সিংহের মহাভারত আর টেকচাদের আলাল, হুতোমের নকশার। ত্রৈলোক্যনাথকেই বা কে উদ্ধার করত? বঙ্কিম রমেশ প্রমুখ জনপ্রিয় লেখকের কথা তো ছেড়েই দিলাম। দীনেন্দ্রকুমারের ‘আরব্য রজনী' থেকে ‘সেক্সপীয়র গ্রন্থাবলী’— সেই বিপুল তালিকা আজ ক্রমশ অপসৃয়মান ।
বসুমতীর একমাত্র ত্রুটি যে তা সম্পূর্ণ উপযোগিতাবাদী— মুদ্রণ পারিপাট্য, বইয়ের স্থায়িত্ব বিষয়ে একেবারে উদাসীন। কিছু তাঁরা যদি এ-বিষয়েও সচেতন হতেন তাহলে বাংলা বইয়ের ক্রেতা অনেক বাড়ত সন্দেহ নেই। আজকের প্রকাশককে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বসুমতীর ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধার করতে হবে। আমার তো মনে হয় প্রতিষ্ঠিত লেখকরূপ মরীচিকার পেছনে না ঘুরে কেউ যদি অনতিপ্রাচীন গ্রন্থাবলির সুলভ সংস্করণ প্রকাশ করেন, তার সাফল্য নিশ্চিত। আমাদের দেশে কি পেঙ্গুইন-পেলিক্যান প্রতিষ্ঠানের অনুরূপ ক্ষুদ্র সংস্করণ গড়ে উঠতে পারে না? একদিন নিশ্চয়ই গড়ে উঠবে। কিন্তু কতদিনে বিধাতা, কতদিনে ?
প্রথম প্রকাশ: ‘নতুন সাহিত্য’, মাঘ-চৈত্র ১৩৬৮
সুবীর রায়চৌধুরী সংখ্যা
শিকড়ের সন্ধানে যাপনের কারুবাসনা
কোমল গান্ধার
চতুর্থ সংখ্যা | দু-হাজার উনিশ
সম্পাদনা | শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়