বহিষ্কার হওয়ার পরেও কেন সরকারি বাংলো ছাড়ছেন না মহুয়া মৈত্র?

Mahua Moitra Bungalow : গত ৮ জানুয়ারি ডিওই কেন মহুয়া তাঁর সরকারি বাংলো খালি করেননি সেই সম্পর্কে তিন দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে একটি নোটিশ জারি করেন।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ঘুষ ও উপহারের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগে নীতি কমিটির সুপারিশ মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এবার তাঁর সরকারি বাংলো অবিলম্বে খালি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে। এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে এস্টেট অধিদপ্তর। তৃণমূল নেত্রী মহুয়া সাংসদ হওয়ার কারণে সরকারে এই বাংলোটি থাকার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই পেয়েছিলেন। সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরে ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাড়িটি খালি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।

গত ৮ জানুয়ারি ডিওই কেন মহুয়া তাঁর সরকারি বাংলো খালি করেননি সেই সম্পর্কে তিন দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে একটি নোটিশ জারি করেন। ১২ জানুয়ারি মহুয়া মৈত্রর কাছে আরও একটি নোটিশ পাঠানো হয়। ৪ জানুয়ারি দিল্লি হাইকোর্ট তৃণমূল নেত্রীকে জানায়, তাঁর জন্য যে সরকারি বাংলো বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেখানেই থাকার অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করে ডিওই-এর কাছে যেতে। এস্টেট অধিদপ্তর চলতি মাসে মহুয়াকে দু'টি উচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছে।

বরখাস্ত হয়েও কি সরকারের বাংলোয় থাকা যায়? বিচারপতি সুব্রাহ্মনিয়ন প্রসাদ মহুয়া মৈত্রকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে সরকারি বাংলো খালি করার সরকারি নির্দেশ বিষয়ে জানিয়েছেন, ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট কিছু টাকা বেশি দিয়ে আরও ছয় মাস পর্যন্ত সরকারি বাংলোতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন- স্পষ্টবাদী, স্বাধীনচেতা বলেই মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের ছক সাজাল বিজেপি?

আদালত মহুয়া মৈত্রকে তাঁর আবেদন প্রত্যাহার করার অনুমতি দিয়ে জানিয়েছে ডিওই নিজে যা উচিত মনে করবেন সেইভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আদালত জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী উচ্ছেদের আগে সেই বাংলোর বাসিন্দাকে নোটিশ জারি করতেই হবে এবং সরকারকে আইন অনুসারেই আবেদনকারীকে উচ্ছেদের জন্য পদক্ষেপ করতে হবে।

মহুয়া মৈত্রকে 'অনৈতিক আচরণের' জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে উপহার নেওয়ার অভিযোগ এবং পাশাপাশিই সংসদের ওয়েবসাইটের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ড হিরানন্দানির সঙ্গে শেয়ার করার অভিযোগে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল মহুয়াকে।

বিজেপির সাংসদ নিশিকান্ত দুবে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যে তিনি লোকসভায় প্রশ্ন করার বদলে ঘুষ নিয়েছিলেন ব্যবসায়ী হিরানন্দানির থেকে। আত্মপক্ষ সমর্থনে মহুয়া বলেছিলেন, তিনি কখনও কোনও ঘুষ নেননি। তবে তিনি লগইন আইডি শেয়ার করেছিলেন। শেয়ার করা যায় না এই বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও তথ্য ছিল না।

More Articles